আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ড্রেনে ফেনসিডিলের খামার!

নগরের পানি নামার সুবিধার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ড্রেন মাসদাইর হয়ে ঠেকেছে কাইলানী খালে। পশ্চিম মাসদাইর এলাকায় এ ড্রেন পরিষ্কারের সময়ে হাবিবুর রহমান ফকিরার রিকশার গ্যারেজের সামনে অসংখ্য ফেনসিডিলের খালি বোতল পাওয়া গেছে গতকাল। স্থানীয়রা জানান, এ গ্যারেজে অনেক আগে থেকেই মাদকের কারবার ও মাদক সেবন চলে আসছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এ গ্যারেজের পাশেই এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহজাহান মাতবরের অফিস। এ নিয়ে আলাপ হলে শাহজাহান মেম্বার সংবাদচর্চাকে জানান, ড্রেনের এ জায়গাটায় গ্যাসের পাইপ আছে। কাজেই অন্য জায়গায় খেয়ে ফেললেও সব এসে এখানে জমা হতে পারে। তার মতে, যুব সমাজ সঠিক পথে নেই।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আতাউর রহমান প্রধানের মোবাইলে কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

স্থানীয়রা জানান, এ রিকশার গ্যারেজটির জায়গার মালিক এনায়েতনগর ইউনিয়নের একজন আওয়ামীলীগ নেতার আত্মীয়। বর্তমানে রিকশার গ্যারেজ চালায় হাবিবুর রহমান ফকির ওরফে ফকিরা। এ গ্যারেজে প্রতিদিন মাদকসেবীদের দেখা যায়। এদের মাদক সরবরাহ করা হয় পাশের একটি মাদক স্পট থেকে। এ নিয়ে রিকশার গ্যারেজের মালিক ও রিকশা চালকরাও বিব্রত। তারা জানান, প্রভাবশালীদের আত্মীয় হওয়ায় মাদক সেবীদের কিছু বলাও যায় না। অতীতে সোর্সের কথায় পুলিশ গ্যারেজে এসে নিরীহ রিকশা চালকদের ধরে নিয়ে যেতো। যারা মূল হোতা তারা পার পেয়ে যায়। তারা আরও জানান, আমরা কিছু বললে আমাদের হুমকি ধামকি দেয়। যার জন্য ভয়ে কিছু বলি না।

এদিকে গতকাল ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখে চমকে উঠে মানুষ। পশ্চিম মাসদাইরের ওই রিকশার গ্যারেজের সামনে ড্রেন পরিস্কারের সময়ে পরিচ্ছন্নকর্মীরা একসাথে অনেক ফেনসিডিলের খালি বোতল পায়। যা দেখে অনেকে মন্তব্য করেন, ‘ অবস্থা দেখে মনে হয় এখানে ফেনসিডিলের চাষ করা হয়’!

এ নিয়ে কথা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে কারা জড়িত তা সনাক্ত করা হবে।